You are currently viewing আজকের টিএসসির ঘটনাতে দুইটি বার্তা!!

আজকের টিএসসির ঘটনাতে দুইটি বার্তা!!

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

আজকের টিএসসির ঘটনাতে দুইটি বার্তা!!
১.
গত কয়েকদিন আগে কিছু বোনদের আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেয়েদের জন্য একটি নামাজের জায়গা বরাদ্দ করে দিয়েছে।এটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।এর পরে দেখলাম এমন একটি দল যে দলের অধিকাংশ কর্মীরা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করেন।সে দলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেন তার বক্তব্যে বলেছেন।মোল্লাতন্ত্রের কাছে বলি হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসিনি,মোল্লাতন্ত্রের কবর রচনা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেছি।

ছাত্রীরা নামাজের জন্য জায়গা চেয়েছেন এটাই কি সাদ্দামের দৃষ্টিতে মোল্লাতন্ত্র! এই মোল্লাতন্ত্রের কবর রচনা করতে চান সাদ্দাম!যারা নামাজের জন্য জায়গা চেয়েছেন সাদ্দামও তাদের মত বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা বা শিক্ষার্থীদের কোন দাবীর কবর রচনা করার এখতেয়ার সাদ্দামকে কে দিলো?

ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পজেটিভ। যার দরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদ সহ হলে হলে মসজিদ আছে, মন্দির আছে, প্রত্যেক বছর বড় করে সরস্বতীপূজা হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ধর্ম চর্চার সুযোগ রেখেছে সেখানে সাদ্দাম কেন বিশেষ একটা ধর্মের বিরুদ্ধে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে?যারা সাদ্দামদেরকে চিনেন তার ভালো জানেন, সাদ্দাম চরমভাবে ইসলাম বিদ্বেষী। হিজাব,নামাজে এজন্য তার এলার্জি। টিএসসিতে নারীদের জন্য জায়গার বরাদ্দ দেওয়া হবে কিনা এটা কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতেয়ার হওয়া সত্বেও তাই সাদ্দাম মোল্লাতন্ত্র তথা ইসলাম চর্চার কবর রচনা করতে চান।

এর পরে কথা হচ্ছে গিয়ে সাদ্দাম হোসেন মোল্লা তন্ত্র কবর রচনা বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন!উনি কি চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী মৃত্যু হলে জানাজা ছাড়া তাদের কবর দেয়া হোক!!যদি তা না হয় তাহলে মোল্লাতন্ত্র যদি কবর রচনা হয় তাহলে ওই লোক গুলোর জানাজা পড়াবে কে?আমি সাদ্দাম হোসেনের পুরো বক্তব্য টা শুনেছি পুরো বক্তব্যে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব চোখে পড়ার মতো ছিল।এবার বলেন নিজেকে মুসলিম মনে করা আওয়ামী ভাই আপনার দলে এতো বড় একজন ইসলাম বিদ্বেষী নেতার কিভাবে জায়গা হল?


ঢাবির টিএসসিতে মেয়েদের নামাজ পড়ার জায়গা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। ছেলেদের নামাজের জায়গা তালা মেরে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত ৬ এপ্রিল বুধবার ঢাবির টিএসসিতে মুসলিম ছাত্রীদের নামাজের স্থান নির্ধারনের দাবির বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছিল ছাত্রলীগ। সেখানে লেখক ভট্টচার্য, সনজিত চন্দ্র দাস, সাদ্দাম হোসেনরা জানিয়েছিল যে, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোল্লাতন্ত্র চলবে না। এখানে কোন মৌলবাদীদেরকে তাদের (ধর্মীয়) কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না। বেহেশতে যাওয়ার কোন টেকটিক পালন করতে দেওয়া যাবে না। ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে কোন কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না।”

পূর্বে থেকে বলে আসছি এ দেশে একটা গুষ্টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চাচ্ছে!এর আগেও সংখ্যালঘু বাড়িঘর স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে!!এ দেশে মৌলবাদী ঠেকানোর নামে ভারতের সেনাবাহিনী ঢুকাতে একটি সংগঠন তৎপর!!সম্ভবত সংখ্যালঘু প্রজেক্ট প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কারণে। মুসলিমদের স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে মুসলিমদের উত্তেজিত করার পাঁয়তারা চলছে।সব কিছুর মূলে একটি হিন্দু বান্ধব রাষ্ট্র গঠন করার ষড়যন্ত্র।তাদের জানা উচিত বাংলাদেশের তাওহিদি জনতা এটি হতে দিবে না ইনশাআল্লাহ।উল্লেখ্য, সঞ্জিত দাস ও সাদ্দাম উভয়েই উগ্র হি/ন্দু/ত্ববাদের প্রতি আনুগত্যশীল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মেয়েদের জন্য করা নামাজের স্থান লন্ডভন্ড করে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার বিষয় আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।মৌলিক এ ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় প্রশাসনের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply