You are currently viewing কবর ঐ যে অন্ধকার এক গর্ত!

কবর ঐ যে অন্ধকার এক গর্ত!

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

দাড়িয়ে আছো তুমি আয়নার সামনে।
মিট মিট করে হাঁসছো! নিজেকে দেখতে ভালই লাগে।
কত সুন্দর অবয়াব! কতইনা সুন্দর তুমি। সবে মাত্র যৌবনের কাল তোমার। নিজের প্রতি নিজেরই ঈর্ষা হয়।
উফ সারাটি জীবন যদি এমন থাকতে পারতাম, কতইনা সুন্দর সুডল দেহের অঙ্গগুলি তোমার। ডাগর ডাগর আখিঁ
তলোয়ারের মতো চিকন চাহনী! চোখের কোণায় যেন লেখে আছে নিজ থেকেই সুরমা কাজল। হিষ্ট পুষ্ট দেহ তোমার!!

আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছো তুমি, চিন্তায় মন বিভোর
চিন্তার অতল গহব্বরে তুমি দাড়িয়ে আছো… নিশ্চুপ করে আর চিন্তা করছো সেই এক যুগ আগের কথা। এতক্ষন তুমি কল্পনার রাজ্যে ছিলে । ফেলে আসা সেই দিন গুলির কথা চিন্তা করছো। তোমাকে তারা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। সেই অপরুপ আর অপরুপার দিনগুলি। কতইনা সুন্দর দেহ ছিলো তোমার। যুগের নারীরা দেখে বলতো বাহ কত সুন্দর পুরুষ! যুগের যুবকরা বললো বাহ কত সুন্দরী নারী যদি তাকে পেতাম!!

আজ চামড়ায় ঢিল ধরেছে!
ঢিলা হয়েছে হাত পায়ের নলা!
মুখ ভচছে দিয়েছে। মনিমুক্তার মতো দন্তরাজি আজ ভেঙ্গে পড়ে খানখান! সেই চুখা চোখের চাহনী। কাজল মাখা সেই নয়নী ডাগর ধুলা আজ অন্ধ হতে বসেছে।
চোখের জ্যাতি গিয়েছে কমে। পিঠ হয়েছে কুজো।
নিজেকে দেখলে ভয় লাগে। হায় কেমন ছিলাম আমি কেমন হয়ে গেলাম।

বাস্তবতা!
হ্যাঁ — বাস্তবতা!
অস্বিকার করবে? করো দেখি!
মৃত্যুর ডাক তোমাকে দুর্বল করে দিবে। করে দিবে যৌবনের চাহিদাকে মাটির খামিরা।
হে নারী — আর কত?
হে যুবক — আর কত!

ঐ যে কবর!
ঐ যে মাকবারা।
ঐ যে অন্ধকার গর্ত!


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply