You are currently viewing গাজওয়াতুল হিন্দ জুলাই বিপ্লব ইসলামপন্থীদের সাথে বামদের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ। একটি গবেষণা

গাজওয়াতুল হিন্দ জুলাই বিপ্লব ইসলামপন্থীদের সাথে বামদের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ। একটি গবেষণা

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

গাজওয়াতুল হিন্দ, জুলাই বিপ্লবকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রের পিছনে শাহবাগীদের সাথে ইসলাম পন্থীদের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ ও একটি গবেষণা।

ইসলাম পন্থীদেরকে আরো একটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।জুলাই বিপ্লবের পরবর্তীতে আমি অনেকবার বলেছি বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে একই সাথে আমেরিকার ও ভারতের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। মনে গেঁথে নিয়ে হবে এই ভুখন্ডে গাজোয়াতুল হিন্দ চীন ও ভারত প্রশ্নে ভারত এবং আমেরিকা এক এবং অভিন্ন বন্ধু। ইসলামপন্থীদের এ কথা খুব দ্রুতই বুঝতে হবে।

আপনি যদি একজন সচেতন মুসলিম হন আপনাকে অবশ্যই প্রথমে আপনার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার চিন্তার জগৎ সাজাতে হবে। তাহলে আপনার অধিকাংশ গবেষণায় সত্য হবে। পৃথিবী আমেরিকা নয় আল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করেন আর এ কথা আমরা মুখে স্বীকার করলেও দুঃখজনক হলেও ময়দানে তার বাস্তব চিত্র আমরা খুঁজে পাই না।যদি তাই হতো তবে নাগরিক কমিটি নয় একটা ইসলামিক বিপ্লবের ইসতেহার ঘোষণা হত।

জুলাই বিপ্লব কারা ঘটিয়েছে? জুলাই বিপ্লবে কারা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে? উত্তর ইসলামপন্থীরা। আবু সাঈদ ও জুলাইয়ের অসংখ্য শহীদ ও আহত ভাইয়েরা হৃদয়ে ইসলাম নিয়েই হাসিনা ফ্যাসিস্ট কে বিদায়ের যুদ্ধ নেমেছে!!তাদের হৃদয়ে ছিল শহিদী তামান্না। আচ্ছা জুলাই শহীদে বামদের আহত নিহত কত? উত্তর : (নেই) কিন্তু দেখেন এ বিপ্লব অলরেডি হাইজ্যাক করে ফেলেছে , আর তার রেজাল্ট কিন্তু বামদের ঘরে গিয়ে পৌঁছেছে।

উপদেষ্টাতে কয়জন আছে ইসলামিস্ট?

আর কারা এই উপদেষ্টা মন্ডলিতে বসেছে। নাম করা সব ইসলাম বিদ্বেষীরা যেন এক প্ল্যাটফর্মে এক হয়েছে। রাখাল সাহার ইসু গতকালের ( g e) ইসু সহো পূর্বের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে বলা যায় অন্তবতী সরকার এবং নাগরিক কমিটি খুব ভালো একটা জুলাই বিপ্লব কে ধারণ করতে পারেনি।

বিএনপি আওয়ামী লীগের পরে তৃতীয় একটি শক্তিকে এদেশের মানুষ মন থেকে চাইছিল।কিন্তু এর অর্থ কেবলা দিল্লি থেকে আমেরিকা যাবে ব্যাপারটা এমন ছিল না। কিছু ঘটনায় প্রমাণিত ইসলাম পন্থীদের জন্য নয়া আরেক দুশমন রেডি। বিশেষ করে, সরোসের ছেলের সাথে উপদেষ্টাদের বৈঠক, লিঙ্গ বৈচিত্র্য লিখিত বক্তব্য, এলজি এক্টিভিস্টকে কমিটিতে রাখা, ইনক্লুসিভ এজেন্ডা । সমন্বয়কদের সততা ও নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ।সত্যকে আড়াল করে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও
ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা । আর এ বিষয়গুলোই প্রমাণ করে জুলাই বিপ্লব হাইজ্যাক হয়ে গেছে। এক ভয়াবহ শত্রু তার পরিকল্পনার ঝাল বিছিয়েছে।

প্রিয় পাঠক কে এই শত্রু জানতে চান?

সংক্ষেপে বলে দি।বলা হয় বাংলাদেশ হচ্ছে প্রকৃতির রূপসী কন্যা। বর্তমান জিও পলিটিক্স অনুযায়ী বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুন্দরী রমণী। যাকে সবাই পেতে চায়। খুব কম সময়ের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি ব্যবস্থা সমুদ্র নির্ভর হয়ে যাবে , আর বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক পৃথিবীর অন্যতম এক বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে উঠবে শীঘ্রই। একই সাথে এই অঞ্চল তথাপি বিশ্ব পরাশক্তি চীনকে ঠেকাতে, এবং সেভেন সিস্টার্স সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমেরিকার স্বার্থ জড়িত থাকায় এ কথা স্পষ্ট আমেরিকা এ দেশে আসতেছে তার বিধ্বংসী সব এজেন্ডা নিয়ে।

সবচেয়ে বড়ো কারণ তা আবারও বলি। চিন প্রশ্নে ভারত এবং আমেরিকা এক হওয়া মহাসংকটের কথাই বলে। দেখুন নাগরিক কমিটির সেল্টার কারা দিচ্ছে তা স্পষ্ট, সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে আলি আহসান জুনায়েদ ও রাফেহ সালমান রিফাতের চিন সফর হয়তো নতুন আরেকটি দলের আত্মপ্রকাশ হবে ।
অবশ্যই এটা চিন ও আমেরিকান পন্থী দলের যুদ্ধ বলে ভুল করবেন না এটি একটি ধর্মীয় যুদ্ধের পূর্বাভাস। কাশ্মির চীন ও গাজওয়াতুল হিন্দি ইস্যুতে ভারত আমেরিকা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করবে এটাই পরিষ্কার । কয়েকদিন আগে ট্রাম্প ও বলেছিল মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একসাথে যুদ্ধ করবে।মূল সমস্যাটা তো তাদের ইসলামের সাথেই দ্বন্দ্ব।

 

চীনের সাথে আমেরিকার সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্ব হলো গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। সমাজ তন্ত্রের পতনের পরেই তো গণতন্ত্রের উত্থান হয়েছে। শত্রুতা ও বহু পুরানো, আসলে আমরা অলরেডি একটি বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে পড়ে গেছি এটা অনেকেই বুঝতে পারতেছে না।

শেষ করবো প্রথম দিকের কিছু লাইন দিয়ে।

আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বিজয় মুসলমানদের হবে।আল্লাহর হাবিব আমাদের সুসংবাদ দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন সাহাবি আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত কয়েকটি হাদিস রয়েছে।

রাসূলুল্লাহ (স.) হিন্দুস্তানের যুদ্ধের আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তাঁদের বিজয় দান করবেন। তাঁরা হিন্দুস্তানের রাজাদের শিকল দিয়ে বেঁধে টেনে আনবে। আল্লাহ তাআলা সেই মুজাহিদদের সকলকে ক্ষমা করে দেবেন। অতঃপর মুসলিমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামকে শামে পেয়ে যাবে।’ আবু হুরায়রাহ (রা.) বলেন, ‘আমি যদি গাজওয়াতুল হিন্দের সময় বেঁচে থাকি, তাহলে আমার সমস্ত সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে দেব এবং সেই যুদ্ধে শরীক হব। (কিতাবুল ফিতান, হাদীস নং: ১২৩)

আল্লাহ কুরআনুক কারিমে বলেন।

যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার মুক্তির পথ বের করে দেন এবং এমন সূত্রে তাকে রিযিক দেন যার কল্পনা সে করেনি’ (তালাক ২-৩)। মহান

আল্লাহ আমাদের সহায় হোন

সাইদুল ইসলাম সজীব
১/৩/২০২৫


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply