যে কারণে পশ্চিমারা খেলাফত ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতে চায়।
পশ্চিমারা চায় খেলাফত ও শরিয়াহ শাসন ব্যবস্থা এবং এ শব্দ গুলোকেই বিকৃত করে ফেলতে। তারা কেন চাইবে না? মুসলমান তথা পুরো জাতির মুক্তিতো খেলাফত এই পবিত্র মাধ্যমে।প্রিয় ভাইয়েরা গোটা জাতী এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি ভূখণ্ড থেকে ইসলামের বিজয়ের অগ্রযাত্রা লক্ষ করা যাচ্ছে।
বিশ্ব ব্যবস্থায় এক টালমাটাল পরিস্থিতি। এই সময় একই সাথে আপনাকে রাজনীতি, শক্তিমত্তা, এবং প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে হবে। না হয় ইইতিহাসের গতিপদ ভিন্নভাবে লেখা হবে। পশ্চিমাদের গোয়েন্দা সংস্থা লক্ষ লক্ষ বিলিয়ন ডলার খরচ করতেছে কেন জানেন?
আপনারা জানেন শেষ জামানায় আমাদের একজন কাঙ্খিত নেতার আগমন ঘটবে। আর উনার উপাধি হবে ইমামুল মাহদী। আপনি দেখবেন অনেকে নিজেকে মাহাদী দাবি করতেছে, আর এই ভন্ডদের অধিকাংশই পশ্চিমাদের এজেন্ডা। গোলাম মোহাম্মদ কাদিয়ানীর ইতিহাস নিশ্চয়ই জানেন।
ইমাম মাহাদী, ঈসা আলাইহিস সালাম,শরিয়াহ শাসন এবং খেলাফত হচ্ছে মুলমান জাতির একটি জাগরণী বিষয়। খেলাফত পতনের সাথে সাথেই মুসলমানদের পরাজয়ের ঘটনা শুরু হয়েছে। অনেকগুলো গন হত্যার শিকার হয়েছে আমাদের উম্মাহ। ইরাক, সিরিয়া,আরাকান,কাশ্মীর, আফগানিস্তান আরো অগণিত ভূখণ্ডে ঘটেছে মানবতা বহির্ভূত নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।কিন্তু মুসলমান প্রতিরোধ করতে পারেনি একজন নেতার অভাবে।
ঠিক যে সময় উম্মতে মোহাম্মদী আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছে। বিশ্বব্যাপী আবারো খেলাফতের স্বপ্ন দেখতেছে। আর তখনই পশ্চিমারা এ শব্দগুলোকে মানুষের কাছে বিতর্কিত করে ফেলার চেষ্টায় নিয়জিত হয়েছে।
আমার ভাই ও বোন আপনাদের বুদ্ধিমানের পরিচয় দিতে হবে। পশ্চিমাদের ফাঁদে পা দেয়া যাবেনা। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি। খেলাফত কায়েম হওয়া এটা আমার, আমাদের স্বপ্ন এবং এই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক আন্দোলনে আছি।কিন্তু এই গন্তব্যে অদূরদর্শী হঠকারিতা আমাদের পথের দূরত্ব নিশ্চিতভাবে বাড়াবে। ইতিহাসে অসংখ্য নজির রয়েছে।
আসুন আমরা আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াই।হেকমত সবর, ও দোয়া ও চেষ্টার মাধ্যমে এ জাতির মুক্তিতে অবদান রাখি।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন কুরআনে হেকৃত নিয়ে বলেন
তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন”। [সূরা: আন-নাহাল: ১২৫]