You are currently viewing সততার দাবি হলো ন্যায় বিচার।

সততার দাবি হলো ন্যায় বিচার।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সততার দাবি হলো ন্যায় বিচার। কিন্তু ইনসান এ জায়গায় এসেই বরাবরই ধরা খেয়ে যায়, এ ক্ষেত্রে সে স্রষ্টার এবং বান্দার হক নষ্ট করে ফেলে। এ জামানায় এটা খুব সহজ বিষয় নয়।

ইনসাফ তো একদমই মারা গেছে তার উপর জানাজা ও পড়ায় স্বয়ং জুলুম। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ন্যায়ের পক্ষে থাকা মানুষ সত্যিই নগণ্য। সমাজে কিছু সত্য গোপনকারী ব্যক্তি, অন্ধ হিংসুক ব্যক্তির রোষানলে পড়তে হয় এই শ্রেণীর মানুষদের।

একটা বিষয় খটকা লেগেছে আমার।হাসিনার সময় আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয় গড়ে ফাঁসির ঘটনায়, আমার ভিতরে একটা সন্দেহের বীজ বপন হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে হত্যাকারীর সাথে অনেক নির্দোষ ব্যক্তিকেও ফাঁসির রায় দিয়েছে।সকাল থেকে একটা বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রচার হচ্ছে, জনাব Shishir Manir (মোহাম্মদ মনির )ভাই নাকি আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের আসামির বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছে।

আমরা জনাব শিশির মনির কে একজন ন্যায় নীতিবান লইয়ার মনে করি,বিশ্বাস করি উনি অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে একজন নিরপরাধ মানুষকে আইনি সহায়তা দিতে নিজের নাম লিখিয়েছেন। উনি অবশ্যই জানতেন এ জন্য উনাকে সমালোচনার শিকার হতে হবে। কিন্তু তাতে কি? জামানায় সত্য এখন মিথ্যার কাছে নাস্তানুবাদ, মানুষের বিবেক এখন মিথ্যার কাছে পরাজিত।

একটা বিষয় মনে রাখবেন, যখন একটি ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হয়। তখন তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ন্যায়বিচার। অনেক সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সকল প্রমাণ থাকলেও , ইতিহাস থেকে জানা যায় সে ব্যক্তি নির্দোষ ছিল এবং তা বহু ঘটনার মাধ্যমে প্রমানিত । সবার প্রতি অনুরোধ,জনাব বিচারপতি অবশ্যই সত্যের পক্ষেই রায় দিবেন, তিনি নিশ্চয়ই শিশির মনিরের চেহারা দেখে রায় দিবেন না।আর যদি সত্যিই ওই ব্যক্তি নির্দেশ হয় তখন আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবেন? না-কি আবরার হত্যাকান্ডের সময় আপনারা গিয়ে দেখেছেন ওই ছেলে আবরার কে হত্যা করতে!!

অপেক্ষা করুন এবং সত্য জানার চেষ্টা করুন। জালেম হবেন না। লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিশেষ একটি গোষ্ঠী এই ইস্যু নিয়ে শিশির ভাইকে চাপের মুখে ফেলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করতে। ইনশাআল্লাহ ষড়যন্ত্রকারীরা শীঘ্রই জানবে তাদের গন্তব্য কোথায়।

সাইদুল ইসলাম সজীব
২৬/২/২০২৫


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply