মূলত সুফিয়ানী হবেন দুইজন। প্রথমজন হবেন বংশগত দিক দিয়ে বানু কাল্ব গোত্রের লোক অর্থাৎ সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বংশের থেকেই এবং সে সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থাকবে। এই সময়ে সে সিরিয়াতে অবস্থানকারী কালো পতাকাবাহী আসবাব জাতি (Islamic state), হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি (Tuareg) এবং ফোরাত নদীতে ভেসে উঠা স্বর্নের পাহাড়কে কেন্দ্র করে তুরস্ক ও আমরিকার সাথে যুদ্ধ করবে।
আর দ্বিতীয় জন হবেন উমাইয়া গোত্রের আবু সুফিয়ানের বংশের মধ্য থেকে।অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে আজহার ইবনে খালিদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের বংশের।দ্বিতীয় সুফিয়ানী রক্ত সম্পর্কের দিক থেকে প্রথম সুফিয়ানীর বোনের ছেলে অর্থাৎ ভাগিনা হবে। আর দ্বিতীয় সুফিয়ানীকেই হাদীসের ভাষায় পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক বলা হয়েছে। তবে এই দুইজন আত্নপ্রকাশের পুর্বথেকেই তাদের আনুসারীরা আগে থেকেই সিরিয়ার ক্ষমতায় থাকবে।
“শুরুর দিকে তারা(সুফিয়ানী) ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে, পরে যখন শক্তি ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত হয়ে যাবে, তারা অত্যাচার-অবিচার ও অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়বে”।
(ফয়জুল কদির, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১২৮)
অর্থাৎ প্রথমে তাদেরকে মুসলমানদের মাঝে মহান নেতা বা হিরো হিসাবে উপস্থাপন করা হবে, কিন্তু পরে তাদের আসল রূপ প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
মুসলিম বিশ্বের জন্য উদ্বিগ্নের বিষয় হল, ১৯৬৬ সালে সামরিক ক্যু এর মাধ্যমে সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারী হাফিজ আল আসাদ এবং তার পরিবারও “কালব্যিয়া” বা “কাল্ব” গোত্রের। তারা শিয়াদের যে শাখার অনুসারী অর্থাৎ “নুসাইরিয়া”/ “আলাভি”/ “আলাওয়াতি” রাও “কালব্যিয়া” বা “কাল্ব” গোত্রের। বর্তমানে বাশার আল আসাদদের অনুগত ও অনুসারী প্রশাসনিক ও সামরিক বাহিনীর বেশির ভাগই “নুসাইরিয়া”/ “আলাভি” তথা “কালব্যিয়া” বা “কাল্ব” গোত্রের। ইসরাইল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে মিডিয়াতে উচ্চকণ্ঠের কারণে বেশির ভাগ মুসলিমরা এই পরিবারকে হিরো মনে করে। আজ ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে তাদের আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে। আজ তারা “আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআ”দের সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত। প্রথম শাসক ছিল হাফিজ আল আসাদ, সে ৩০ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিল। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে দ্বিতীয় শাসক হয় বাশার আল আসাদ। কিন্তু আরবদের বিভিন্ন পশ্চিমা দালাল মিডিয়াতে নিজের “কালব্যিয়া” বা “কাল্ব” গোত্রের পরিচয়কে গোপন করে কুরাইশ বংশের পরিচয়কে বাশার আল আসাদ বার বার সামনে আনছে (হাদিসে এসেছে কালব গোত্রের কুরায়েশী ব্যক্তি) এবং রাসুল (সাঃ) এর কুরাইশ বংশের ধোঁয়া তুলে বর্তমান মুসলিম জাহানের অপেক্ষাকৃত উদাসীন, শেষ জামানার আলামত সম্পর্কে অজ্ঞ ও দুর্বল ঈমানের মুসলমানদের সহজেই পথ ভ্রষ্ট করছে।
ইমাম মেহেদি প্রথম যে যুদ্ধ হবে সেটা সুফিয়ায়নি বাহিনি সাথে, হাদিসে সাথে মিলালে , চলে এসেছে সুফিয়ায়নি বংশ
হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন, বলু কাল্ব গোত্র কুরায়িশের একটি বংশ , ইমাম মেহেদি যে সুফিয়ানির সাথে যুদ্ধ করবে সে হবে বনু কাল্ব গোত্রের ।
হাদিসে প্রথম সুফিয়ানি , দ্বিতীয় সুফিয়ানি কথা উল্লেখ আছে ,
রাসুল (সাঃ) সুফিয়ানি বাহিনি চেনার জন্য কয়েকটি আলামত কথা বলেন,
১/ প্রথম সুফিয়ানি হবে , বনু কাল্ব গোত্রে, ২। প্রথম সুফিয়ানি মুখ ছোট , কপাল বড় হবে ৩। চোখে দাগ থাকবে ৩। তার মুখে শেত দাগ থাকবে ৪। সে প্রথমে ভাল থাকলে সে রক্ত পাত ঘটাবে
এইবার সিরিয়ার পূর্বের প্রেসিডেন্ট , বাশার আল আসাদ পিতা হাফিয আল আসাদ ফোটো দেখলে ,
দেখা যায় সে সিরিয়ার যে বংশের সেটা বনু ক্লাব গোত্র ,
হাফিয আল আসাদ ফোটো দেখলে ,দেখবেন তার মুখে তুলনামূলক ছোট ,কপাল প্রস্থ অনেক , যেটা হাদিসে এসেছে,
হাফিজ আল আসাদ প্রথমে ভাল থাকলেও পরে অনেক মানুশ মারে, কারন সে আবার শিয়া ছিল , শিয়াদের একটা ভুল বিশ্বাস যে সুন্নিদের পেলে মারা আর ভাল কাজ মনে করে আর এই কাজ টা শুরু করে হাফিয আল আসাদ এর বাইরে অনেক ধরনের কারন আছে
রাসুল (সাঃ) যে সুফিয়ায়নি বাহিনির পরিচয় দিয়েছেন, যে ইমাম মেহেদি সাথে যুদ্ধ করতে যে সুফিয়ানি বাহিনি আসবে সে সিরিয়া থেকে আসবে , আর বাশার আল আসাদ ও তার পিতা পিতা হাফিয আল আসাদ বনু কাল্ব গোত্র সিরিয়ায় যা হাদিসের সাথে মিলে যায় ।
রাসুল (সাঃ) সুফিয়ানি বাহিনি চিনহিত করতে আর একটি আলামত বলেন যে এই সুফিয়ায়নি বাহিনি রক্তপাত ঘটাবে এবং মায়ের পেটের বাচ্চা হত্যা করবে। সিরিয়ায় অবস্থানরত
২০১৩ সালের সি এন এন নিউজ রিপোর্টঃ এক ডাক্তার নাম ডেভিড নট দেখেন যে সিরিয়ায় যে সব গর্ভবতী মা কে গুলি করে মারা হয়, তাদের পেটে এক্স করে দেখা যায় , প্রতিটা গর্ভবতী মায়ের পেটের বাচ্চা মাঠা যে দিক থাকে সেই দিক গুলি করে মারা হয় (নাউজুবিল্লাহ)
এই আলামত টা পুরাপুরি মিলে গেল, বাশার আল আসাদ ২০১১ সাল থেকে যে সিরিয়ার হামলা করে সে এই ভাবে মায়ের পেটের বাচ্চা কে হত্যা করে,
দ্বিতীয় সুফিয়ানি আত্ত প্রকাশ সম্পর্কে রসুল (সাঃ) বলেন,
হযরত হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন খুযায়ী (রাঃ) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমরা এই সুফিয়ানিকে কিভাবে চিনব?উত্তরে রাসুল (সাঃ) বললেন, তার গাঁয়ে দুটি কাতওয়ানির চাদর থাকবে(দুটি শক্তিশালী দল) । তার চেহারার রং ঝলমলে তারকার মতো হবে। ডান গালে তিলক থাকবে। আর বয়স চল্লিশের কম হবে”।
বাশার আল আসাদ জম গ্রহন করে ১৯৬৬ সালে , ২০০০ সালে ক্ষমতায় আসে মানে ৩৩/৩৪ বসর বয়সে , উপরের হাদিসে রয়েছে দ্বিতীয় সুফিয়ানি আত্ত প্রকাশ মানে বাশার আল আসাদের ৪০ বছরের কম হবে, তাই হল,
=>সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদবি নিতে বয়স লাগে ৪০+ , কিন্তু বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় আসে, ৪০ কম ৩৩/৩৪+ বসর এ আশ্চর্য ভাবে হাদিসে সাথে মিলে গেল সুবাহানআল্লাহ,
উপরের হাদিসে আর একটি বিশয় আছে , তার চেহারা হবে উজ্জ্বল ঝলমলে – বাশার আল আসাদ চেহারা উজ্জ্বল ঝলমলে তারকার মত
আল ফিতান–৮৮৭