কাস্মীরকে ধরে রাখতে হলে ভারতের বাংলাদেশকে প্রয়োজন। বিশেষ করে কাস্মীর!! আপনার মনে রাখা উচিত,শুধুমাত্র কাস্মীর স্বাধীনতা চায়না, আরও ৭ টি অঙ্গরাজ্য ভারত থেকে স্বাধীনতা চায়। এটাকে আমরা সেভেন সিস্টার বলে চিনি।
কাস্মীরের সংঘাতটা বহু আগের।সম্পদের দৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। ভারত সরকার তাই এখানে খুব গুরুত্বের সাথে তাদের মনিটরিং করে। প্রিয় পাঠক আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কাস্মীরকে বাচাতে কেন বাংলাদেশকে প্রয়োজন হবে ভারতের। আজকের আলচনায় সে বিষয় সংক্ষেপে কিছু কথা বলার চেষ্টা করব।
কাস্মীর অবরোধের পরে, স্বাধীনতা কামীরা কাশ্মীরে ব্যাপক পরিমাণে হামলা বাড়ায় । একের পরে এক সেনা হারাতে থাকে ভারত সরকার।আর এ কারনেই স্বাধীনতা কামিদের কোনঠাসা করতে ভারত সরকার তার রাষ্ট্রের,ভূখন্ড বিবেচনায় ৪/৫ গুণ বেশি সেনা কাস্মীরে মোতায়েন করে রেখেছে । সম্ভবত কাস্মীরে প্রতি নাগরিক হারে তিনজন করে সেনা মোতায়েন আছে। তার পরে ও সুবিধা জনক অবস্থানে নেই ভারত। প্রতিদিন সে তার সেনা হারাচ্ছে।আর এ কারণে ভারত তার বাকি রাজ্যগুলো নিয়ে চিন্তিত। বিশেষ কারণ আরও ৬টি অঙ্গরাজ্য যেখানে স্বাধীনতা চায়।
আর অন্য দিকে ভারতের আরেক দুর্বলতা হচ্ছে তাদের দুর্বল অর্থনীতি । তাদের জনসংখ্যা বিবেচনায় তাদের সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আরও কয়েক লক্ষ বেশি । কিন্তু তা করতে তারা সামর্থ্য নয়।আর শত্রু হিসেবে চিনতো আছেই। নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস তারা বিশ্বাস করুক কিন্তু , সেটা তাদের বিষয় কিন্তু কাস্মীর হাতছাড়া হবেই ইনশাআল্লাহ । আর তা কিভাবে আসুন বুঝিয়ে বলি।
কাশ্মীর যদি সত্যিই স্বাধীন করতে হয়, তার জন্য বড়ো বাধা হচ্ছে সেখানে থাকা অতিরিক্ত রিজার্ভ সেনাবাহিনী। প্রথমত স্বাধীনতা কামিদের সেখানে অতিরিক্ত সেনাদের কাস্মীর থেকে বের করতে হবে। আর এ কাজ করতে হলে তাদের কাস্মীরের বাহিরে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুলোতে হামলা করতে হবে। বিশেষ করে যে ছয়টি অঙ্গরাজ্য স্বাধীনতা চায়। যদি স্বাধীনতা কামিরা তা করতে সক্ষম হয়, ভারত কাশ্মীর থেকে অতিরিক্ত সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে।
খেলা তখন কোথায় গড়াবে জানেন? যদি ভারত কাস্মীর নিয়ে পড়ে থাকে তবে বাকি অঙ্গরাজ্য গুলো নিয়ে হুমকির মুখে পড়বে! আর বাকি অঙ্গরাজ্যগুলো বাঁচাতে গিয়ে কাস্মীর হাত চাড়া করবে।কাশ্মীর স্বাধীনতার অন্যতম সুবিধা হচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চলগুলো,আর সেখানে থাকা মানুষগুলোর ধর্মীয় বিশ্বাস।
বর্তমানে যা দেখছেন, সবই আগাম প্রস্তুতি। বাংলাদেশের পাশে থাকা আসামসহ বাকি রাজ্যগুলো নিরাপত্তার জন্যই এতো পরিকল্পনা। ভারত যখন নিজের দেশের শত্রু নিয়ে হতভম্ব, তাই তারা চায়না প্রতিবেশী কেউ তাদের জন্য নতুন করে হুমকি হোক । ১০ টাক অস্ত্রের ঘটনা তাদের জন্য সম্ভবত বড়ো সতর্কতা ছিল। তাই চলে বলে কৌশলে, ঘোষিত বা অঘোষিত তারা বাংলাদেশে দখল করেছে অথবা করে নিবে।
তবে এ দেশের মানুষের জন্য সত্যি খারাপ কিছু অপেক্ষা করতেছে। কাশ্মীর স্বাধীন হলে সেখানে, বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তান অথবা চায়না আছে । বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর আর ভারত চাড়া কে আছে? এখন ভারতের গোলামি করে জাহান্নামে যান, অথবা শাহাদাতের মৃত্যু নিয়ে জান্নাতে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন।
সাইদুল ইসলাম সজীব
লেখক ও গবেষক (আখিরুজ্জামান)
২৪/৬/২০২৪