You are currently viewing দাজ্জালের জান্নাত জাহান্নামের যুদ্ধ মুমিনের করণীয় বর্জনীয়।

দাজ্জালের জান্নাত জাহান্নামের যুদ্ধ মুমিনের করণীয় বর্জনীয়।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

হাইব্রিড খাবার গুলো,আমাদের বাজার গুলোতে কিভাবে যায়গা করে নিয়েছে খেয়াল করেছেন? দেখতে কি অসাধারণ, তরতাজা ভিতরে আসলে বিষে ভরা। কোনো পুষ্টি তো নেই আছে বরং রোগব্যাধির হাজারো উপসর্গ।

মানুষ দিনদিন ন্যাচারাল খাবার থেকে বেরিয়ে আসতেছে। অসুস্থতা ও দিনদিন বেড়েই চলছে। আমি খাবার নিয়ে কয়েকদিন রিসার্চ করলাম। যে নয়া খাদ্য ব্যবস্থা আমাদের উপর উড়ে এসে জুড়ে বসেছে,তার জনক কারা? ঘুরে ফিরে ঐ যে তারাই,যাদেন নাম নেয়া ও বারণ।

একটা জিনিস খেয়াল করছেন? দাজ্জাল যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিশ্ব শাসন করবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খাদ্য ভান্ডার। তার আগমনের সমসাময়িক সময়ে গোটা দুনিয়ার অনেক অংশেই দুর্ভিক্ষ লেগে যাবে,আর অলরেডি তা শুরু হয়েছে । আর সে তখন বিশাল খাদ্য ভান্ডার নিয়ে অভাবগ্রস্তদেরকে বলবে। আমাকে প্রভু বলে স্বীকার করো আমি তোমাদের খাবার দিব । আর না হয় দুর্ভিক্ষ দিয়ে মেরে ফেলবো!!

 

দজ্জাল এখনো আসেনি কিন্তু তার ছেলাপেলেরা তার জন্য কিভাবে পথ সুগম করে রেখেছে, সত্যি অবাক হতে হয়। হাদিসে বলা আছে তার আহ্বান করা জান্নাত হচ্ছে মুলত জাহান্নাম, আর সে যাকে জাহান্নাম বলবে তা মূলত জান্নাত ।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, ‘দাজ্জালের সাথে যা থাকবে তা আমি অবগত আছি। তার সাথে দু’টি নদী প্রবাহিত থাকবে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে একটিতে সুন্দর পরিস্কার পানি দেখা যাবে। অন্যটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যাবে। যার সাথে দাজ্জালের সাক্ষাৎ হবে সে যেন দাজ্জালের আগুনে ঝাপ দিয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে পান করে। কারণ উহা সুমিষ্ট পানি। তার চোখের উপরে মোটা আবরণ থাকবে। কপালে কাফের লেখা থাকবে। মূর্খ ও শিক্ষিত সকল ঈমানদার লোকই তা পড়তে সক্ষম হবে’

(মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান)

উক্ত হাদিসের হাদিসের আলোকে বুঝা যায়। দাজ্জালের আগুন মানে, আপনার কাছে যা দুর্বল ভাবে উপস্থাপন করা হয় তা-ই। এইযে দরুন,হাইব্রিড জাতের গরু, আর দেশি গরুর সাইজ কি একই হয়। মানুষ কিন্তু দেশি টাকে অবজ্ঞা করে হাইব্রিড টাই কিনে। আমার এ বক্তব্যের মুল বিষয় কিন্তু হাইব্রিড জাতের খাবার না।

বুঝাতে ছেয়েছি তাদের হাতে আবিষ্কৃত যতগুলো বিষয়বস্তু আমাদের সামনে আসে, তা যতো চাকচিক্য দেখাকনা কেন। তা তার জান্নাতের আড়ালে মূলত জাহান্নাম। মূলত তার (তাদের)প্রতিটি আবিষ্কারই মানুষের জন্য ক্ষতিকর, আর ওই রোগা পাতলা দেখতে গরু, অথাবা তাদের হাতে আবিষ্কৃত চাকচিক্যর আড়ালে ন্যাচারাল দুর্বল জিনিসটাই আপনার কাছে (জাহান্নাম)খারাপ জিনিস মনে হলেও। তা মূলত জান্নাত। এটা আপনার জন্য কল্যাণকর, এতেই রয়েছি পুষ্টি। আর আপনি তা-ই বেচে নিন।

একটা কথা সবসময় বলি যত প্রযুক্তির উৎকর্ষিকতা, ততটাই সভ্যতার ধ্বংসকারী ভয়াবহ ফিতনা। সাদাকালো আর ন্যাচারাল।সেখানে আছে নির্ভেজাল ও সুস্থ ঈমান। তাই ঈমানদার ভাইদের বলবো, শেষ জামানায় এই ভয়াবহ সময়ে। যাদের সম্ভব হয়, বাড়িতে একটা পুকুর থাকুক, একটা গাভী, ২ টা ছাগল কিংবা ভেড়া থাকুক, সাথে একটা সবজি বাগান হোক,আর সবকিছুই হাইব্রিড মুক্ত ন্যাচারাল হোক। অধিকাংশ নয় অল্প সংখ্যকদের কাতারে আসুন।

মনে রাখবেন, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি দিয়ে নয় তারা খাবার দিয়ে ও আমাদের কোণঠাসা করে দিতে চায়।বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বানাতে চায় আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে।

আমি ভাবি আর ভাবি
এই অসচেতন জাতি
এত এত ফিতনা
কিভাবে পার হবি।

 

আশাকরি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় ইনফরমেশন দিতে পেরেছি । আল্লাহ বুঝার তাওফিক দান করুন।

সাইদুল ইসলাম সজীব
১২/০৭/২০২৪


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply