একটা কার্টুন পূর্বেই নির্ধারণ করে দিচ্ছে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো কি কি সংঘটিত হবে। আমার পাঠক শ্রেণী ভুল বুঝার সুযোগ নেই, আমি বিশ্বাস করি তারা গায়েব জানেন। এটা তো কখনোই সম্ভব না।গায়েবের খবর তো কেবল আমাদের রবের কাছেই সীমাবদ্ধ ।
আমি এ নিয়ে বেশ লম্বা সময় ভেবেছি।ব্যাপারটা আসলে কি? মোটামুটি যে বিষয় সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি তা হল। একটা গোষ্ঠী কিছু পরিকল্পনা নির্ধারণ করে, আর তা বাস্তবায়নে মাঠে নেমে পড়ে। এটা যেনতেন কোন গোষ্ঠী নয়। সিক্রেট সোসাইটি,অর্থাৎ বর্তমান গোটা দুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মোড়ল ব্যক্তির সংগঠন। যাঁরা বিশ্ব নেতৃত্ব দিতে চায় ।
প্রিয় ভাই ও বোন, কথা বলতেছি সিম্পসন কাটুন নিয়ে। ২৩ বছর আগে ট্রাম প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী, ক্যাপিটাল হিলে তার সমর্থকের হামলা ,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আমেরিকার ২১ সালের নির্বাচন নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী।বিশ্বের আরও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো নিয়ে পূর্বের করা বিষয় গুলো মিলে যাওয়া বড়ো কাকতালীয় বিষয়। আর এ বিষয়কে অনেকে ভবিষ্যৎ বাণী মনে করেন। আসলে এট ভবিষ্যৎবাণী নয়।
এটা কোন এক গুপ্ত সংগঠনের কর্মসূচির ঘোষণা। যার বেশিরভাগ বাস্তবায়ন হয়,কিন্তু কিছু বিষয় বাস্তবায়ন হয় না। আর না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ মানুষের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়।
কিছুসময় আগে বিশ্বে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে গুলি করা হয়েছে ।আর উক্ত ঘটনায় ট্রাম্প আহত হন এবং দুইজন নিহত হন । এই ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমেরিকার মধ্যে অন্যতম এক প্রেসিডেন্ট।এ কথা কেন বলছি জানেন? আমি পূর্বে অনেক লেখাই বলেছি, আমেরিকার পুতুল প্রেসিডেন্ট সরকার নির্বাচন নিয়ে। আসলে আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা প্রেসিডেন্ট শব্দেই সীমাবদ্ধ।তাদের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই,নিজস্ব সিদ্ধান্তের অধিকার নেই সিক্রেট সোসাইটি যা বলে তারা তাই করে। অর্থাৎ বুঝাতে চেয়েছি আমেরিকা এক অদৃশ্য শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । এ বিষয় আমার ব্লগে বেশ কিছু লেখা আছে দেখে আসতে পারেন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি স্বাধীনচেতা মনোভাবের ছিলেন, তিনি একমাত্র প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি সিক্রেট সোসাইটির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাদের গোমর ফাঁস করতে চেয়েছিলেন। আর এর পরিণামে তাকে হত্যার শিকার হতে হয়। ভালোবাবে তদন্ত পর্যন্ত হয়নি তার মৃত্যুতে। আর এর বেশ কয়েক বছর পর ডোনাল্ড ট্রাম ছিলেন একটু ব্যতিক্রম। তার পাগলাটে স্বভাব,আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হুমকির কারণ হয়ে গেছে।ঐ যে বললাম সিক্রেট সোসাইটির মোড়লদের তিনি পাত্তা দিতেন না,নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে তিনি অনেক গুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর এতেই উনারা বেশি রাগান্বিত, এবং নিজেদের অস্তিত্বের হুমকি হিসাবে ট্রাম্পকে বিবেচনায় এনে,পরবর্তী নির্বাচনের ট্রাম্পকে পরাজিত করেছেন।
বলে রাখা ভালো। আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহারসহ আরো বেশ কিছু কাজ ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু করেছিলেন।
আমি আগেই বলেছি ট্রাম্পকে হয় তারা মেরে ফেলবে না হয় পরাজিত করবে। সিম্পসন কার্টুন বলছিল,ট্রাম ২১ সালের পরে আবার নির্বাচনে লড়বে।কিন্তু তার মেয়াদ ২০২১ সালেই শেষ। কাকতালিয় ভাবে তাই ঘটেছে। বলে রাখা ভালো,ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার কথিত গণতান্ত্রিক সিস্টেমের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ছিল। তাই এ পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলাটা সিক্রেট সোসাইটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
সিম্পসন কার্টুনে দেখানো হয়েছে ট্রাম্প আত্মহত্যা করবে।আসলে কি আত্মহত্যা নাকি তাকে মেরে ফেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া!!!দেখা যাক কি ঘটে। গায়েবের ভাণ্ডার একমাত্র আল্লাহর কাছে। কোটি কোটি মানুষের রক্ত লেগে থাকা এই অভিশপ্ত সোসাইটির পতন হোক এই কামনা। বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ
সাইদুল ইসলাম সজীব
১৪/০৭/২০২৪