সর্বদিকে বিপদে গেরা ভারত ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি ।
একটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ।
ভারত বড়ো উৎকণ্ঠা আর ফেরেশানি নিয়ে আছে বেশ কয়েক বছর । কাশ্মীরে কি হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ জানেন না,প্রতিদিন সেখানে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসান দিতে হচ্ছে ভারতকে তার সাথে আছে স্বাধীনতা কামিদের হামলা।ইন্ডিয়ান সেনাদের লাশের সারি দীর্ঘতর থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কাশ্মীরের মানুষের সাথে এই স্বাধীনতা হরনকারীরা কি কি করেছে তা জানেন,জুলুমের ফল ভালো হয় না। আমেরিকার মতো তাদের ও পরাজয় বরণ করতে হবে এটা সুনিশ্চিত ইনশাল্লাহ।
একটা ঐতিহাসিক উদাহরণ টানতে চাই। যার ইন্ডিয়ার মত বন্ধু আছে তার আর শত্রুর প্রয়োজন নেই। আর এটাই সত্য। গত এক যুগ এদেশ স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের কি পরিমান ক্ষতি তারা করেছে আজ তা স্বচ্ছ পানির মতো পরিষ্কার । এটা কেমন বন্ধু, যে বন্ধুর প্রতিবেশী কারো সাথেই ভালো সম্পর্ক নেই!!!! চিন? পাকিস্তান? মায়ানমার? যা বাংলাদেশ ছিলো তা ও গেলো।
একটা কথা পরিষ্কার বুঝে নেন। বাংলাদেশের ইন্ডিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। বিশেষ করে সেভেন সিস্টার্সের সুরক্ষার জন্য। আর আওয়ামী লীগ বিতাড়িত হওয়ার পরে এখন এ রাজ্য গুলো যারা স্বাধীনতা চায় তাদের জন্য বড়ো একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এমন উদ্যোগ জনক পরিস্থিতিতে ভারত আসলে কতো দিকে সামলাবে?
কাশ্মীর সহো বাকি রাজ্যগুলোর স্বাধীনতা আন্দোলন। চিনের মতো প্রতিবেশী যে বিশ্ব পরাশক্তি এবং ভারতের প্রকাশ্য শত্রু, পাকিস্তান পূর্ব থেকেই চায় ভারতকে খন্ড খন্ড করে দিতে। এর পরে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে আধিপত্য হারানো যেখানে অধিকাংশ মানুষই ভারত বিরোধী। বলা হয় না সারা গায়ে ক্ষত মলম লাগাবো কত। ভারতের সত্যি বড়ো দুঃসময় যাচ্ছে, হাসিনার মতো শয়তান ক্ষমতায় না থাকা ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ।
আমি এর আগে একটা লেখায় লিখেছি কাশ্মীরকে ধরে রাখতে হলে ভারতের বাংলাদেশকে প্রয়োজন আর ভারত তা হারিয়েছে!! কিন্তু ভারত তা ফিরে পেতে ষড়যন্ত্রের ষোলআনা প্রয়োগ করতেছে। এই মুহূর্তে আমাদের কয়েকটি বিষয় সচেতন থাকা উচিত।
বিশেষ করে ভারত এখন যে দুইটা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। ইসকন দিয়ে দাঙ্গা বাজানোর চেষ্টা, আর গোঞ্জি নাটক। এই দুই চাড়া তো তাদের আর বিশেষ কিছু নেই,তবে এই দুই যথেষ্ট। আগে থেকে তো আওয়ামী লীগের কর্মীরা আছেই। মনে রাখতে হবে হাসিনা চলে গেছে তার দেশবিরোধী, জালেম কর্মীরা এখনো দেশে রয়েছে। যারা জিও পলিটিক্স বোঝেন তারা অবশ্যই বুঝেছেন,বাংলাদেশের সাথে যদি একটা ভালো মধ্যস্থতা ভারতের না হয়। তবে কাশ্মীর সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তার মাসুল দিতে হবে তাদের। তাই সতর্ক থাকুন,ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি মনে রাখবেন ভারত যে কোন কিছু করতে পারে এই অঞ্চলে তাদের অধিপত্যের জন্য, আর তা খুবই দরকার।
আওয়ামী লীগের ভাইদের বলি কি হবে জানি না। তবে ভারতের ফাঁদে পড়বেন না। হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আর আসবে না এটা লিখে রাখুন । তবে ভারতের ভিন্ন পরিকল্পনা আছে। আর তাতে যদি আপনাদের হাত থাকে জনগণ আর মাফ করবে না। একেবারে চিড়ে ফেলবে!!!
শেষ কথা বলি সাইন অফ আখিরুজ্জামান,শেষ জামানা বলে কথা। অনেক রক্ত ঝরবে হয়তো কিন্তু ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের নবিজি গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে আমাদের সুসংবাদ দিয়েছে। কতে প্রশংসনীয় সে বাহিনী, কত প্রশংসনীয় সে সেনাপতি। আমরা তোমাদের ভয় পাই না। হে দিল্লি আমরা আসছি আমাদের ভাইদের রক্তের বদলা নিতে।
সাইদুল ইসলাম সজীব
০৯/১১/২০২৪
আমাকে আরও যেখানে পাবেন
পেইজ : https://www.facebook.com/IslamicResearcherS.I.Sojib?mibextid=ZbWKwL
পেইজ : https://www.facebook.com/akhirujjaman24?mibextid=ZbWKwL