You are currently viewing বাংলাদেশ ছিল ভারতের নিরাপত্তার চাদর।গাজোয়াতুল হিন্দ

বাংলাদেশ ছিল ভারতের নিরাপত্তার চাদর।গাজোয়াতুল হিন্দ

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

আত্মবিশ্বাস অনেক উপকারী কিন্তু আত্মবিশ্বাসের কারণে অসর্তকতা কাম্য নয়।

 

প্রিয় পাঠক  কয়েকটি বিষয় আজ আপনাদের আরেকবার সচেতন করার প্রয়াস। দেশে একটা থমথমে  অবস্থা বিরাজমান ,কারণ  ষড়যন্ত্রকারীরা  বসে নেই৷ ইনশাআল্লাহ পরাজয় তাদের জন্য নির্ধারিত।

 

আপনারা যারা লোকাল রাজনৈতিক বিষয় সচেতন, সময় এসেছে এবার বিশ্ব রাজনীতির  বিষয় সচেতন হওয়ার। কারণ লোকাল বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই যা হচ্ছে এখন  সব কিছুই গ্লোবাল । পুরো পৃথিবীর সব অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে।একটা রাষ্ট্রে যুদ্ধ লাগলে সেখানে অনেকগুলো রাষ্ট্র  এখন সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে । বাস্তবতা হচ্ছে বিশ্ব পরিবর্তনের যুগ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি আমরা,এটা আপনি না মানলে ও চরম সত্য।

(ভিডিওটি না টেনে পুরোটা দেখুন)

বিশ্ব রাজনৈতিক পরিবর্তনের হাওয়া বাংলাদেশে ও খুব জোরে সোরে লাগছে। কেনইবা লাগবে না বাংলাদেশ এখন জিও পলিটিক্সের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। এটা যেন এক সুন্দর রমনী যাকে নিজের করার জন্য পরাশক্তিদের কি প্রস্তুতি চলছে অনেকে হয়তো  কল্পনাও করতে  পারবেন না।

 

বিশেষ করে ভারতের কথা বলি৷ ভারত খুব বড়ো এক ধাক্কা খেয়েছে এ দে-শে। যাঁর জন্য তারা সত্যিই  প্রস্তুত ছিল না । সহজ করে যদি বলি :

 

কিছুদিন আগে তারা তাদের নিরাপত্তার চাদর হারিয়ে ফেলছে।  আর বাংলাদেশ ছিলো তাদের সেই নিরাপত্তার চাদর  অর্থাৎ লাইফ জ্যাকেট।

 

আর সেই জ্যাকেটটি  হারিয়ে তারা এখন উন্মাদ হয়ে গেছে । একটা যুদ্ধ জাতির জন্য সেজেগুজে অপেক্ষায় আছে। কূটনীতিক যুদ্ধ, ডিপস্টেট যুদ্ধ, তাতেও না হলে শেষে সশস্ত্র  যুদ্ধ খুব বেশি দূরে নয় । সাংবাদিক ইলিয়াসের বক্তব্যের অবহেলা করার সুযোগ নেই। ভারতের অস্তিত্ব আঘাত লেগেছে এটা তো চূড়ান্ত সত্য। প্রয়োজনে ওরা আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে  দেয়ার জন্য ও প্রস্তুত।

 

বাংলাদেশে আধিপত্য হারানোর সাথে সাথে পুরো সেভেন সিস্টার্স নিয়ে , ভারত হুমকির মুখে পড়েছে। সেবন সিস্টার্সের সুরক্ষা, যাতায়াত, গোয়েন্দা তৎপরতা সব কিছুর জন্যই বাংলাদেশ ছিল ভারতের জন্য এক অঘোষিত সেইফ রুট ।

 

আপনি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। আগে থেকে কাশ্মীর সহ সেভেন সিস্টার্স ভারত থেকে আলাদা হয়ে  স্বাধীনতার সংগ্রামে আছে। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের আধিপত্য থাকার কারণে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ভারত খুব সহজে যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারতো। অতিরিক্ত সেনা পাঠানো থেকে শুরু করে সব কিছুই ছিলো সহজ। কিন্তু এখন যদি একটা বড়সড় ঝামেলা লেগে যায়, ভারত সেখানে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে যেতে প্রায় দুই দিনের মতো সময় লেগে যাবে। তার উপর বাংলাদেশের মানুষ যে হারে ভারত বিরোধী, আর সরকারে যদি ভারত বিরোধী কোন মুভমেন্ট বসতে পারে। সেভেন সিস্টার্স কোথায় গিয়ে পড়বে বুঝতে পারতেছেন একবার?

 

একদিকে কাশ্মীর হারানোর চিন্তা, অন্যদিকে সেভেন সিস্টার্স, ওপারে চিন, কাশ্মীর বর্ডারে আছে জন্মসূত্রে শত্রু  পাকিস্তান, সেভেন সিস্টার্স বর্ডারে একই সাথে  চিন ও নয়া শত্রু বাংলাদেশ। এতোটুকুতেই কি স্পষ্ট নয় যদি বাংলাদেশে ভারত বিরোধী কেউ ক্ষমতায় বসে।তবে ভারতের  কি সর্বনাশ টা না হবে।

 

আর ভারত তার এই নিরাপত্তার  চাদর হারিয়ে একেবারে উন্মাদ হয়ে আছে, কারণ তাদের অস্তিতে একেবারে  বারোটা বেজে গেছে। আপনারা যারা সাংবাদিক ইলিয়াসের বক্তব্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেছেন এটা ঠিক নয়। সতর্ক হোন,ভারত যে কি করে বসতে পারে কল্পনা ও করতে পারবেন না।

 

ইসকন দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, তা পল্ট করলেই গঞ্জি ইসু, সেনাবাহিনীর ক্লু, আমেরিকা দিয়ে বড়ো কোন পদক্ষেপ, সর্বশেষ পদক্ষেপটি হয়তো সংখ্যালঘু  নির্যাতনের কথা বলা ভারত বাংলাদেশে আক্রমণ করে বসতে পারে। এটা রিসার্চ, অনেক আল্লাওয়ালা ব্যক্তির  স্বপ্ন যুগে আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কতা, ইলহাম ও বাস্তবতা। কমেন্ট বক্সে এ রিলেটেড একটা গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও দিয়ে দিচ্ছি না টেনে  পুরো ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে শুনুন।কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই করবেন।

 

শেষ করবো একটা হাদিস দিয়ে।এটি আমাদের শক্তি যোগায় ।

 

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোলাম ছাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানে জিহাদ করবে, আরেকদল যারা ঈসা ইব্‌ন মারিয়াম (আঃ)-এর সঙ্গে থাকবে।

{সুনানে আন-নাসায়ী: ৩১৭৫}

সাইদুল ইসলাম সজীব

১.১২/২০২৪


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply