
কেন আমরা তাকে সন্দেহ করছি?
১. কারন আগামী কথনের যে বৈশিষ্ট গুলোর কথা বলা আছে তার সাথে হারুন ইয়াহইয়া এর মিল রয়েছে।
২. হারুন ইয়াহইয়া এখন এমন কাজ করছে যা দ্বারা বোঝা যায় অতিশীঘ্র তিনি নিজেকে মাহাদী হিসেবে দাবি করবে।
আর সেই সাল ও বলা যায় ২০-২১ এর মধ্যেই। যা তিনি নিজেই বলে আসতেছেন। আর আগামী কথনেও একই ইঙ্গিত আসছে।
আর মানুষ ভাবছে যে এই বছরে আসল ইমাম মাহ্দীই চলে আসবেন। কারণ হিসেবে তারা দেখছে মহামারী, বিভিন্ন ফিতনা, মুসলিম অত্যাচার বেড়ে গেছে ইত্যাদি।
তবে আসল মাহ্দী কবে আসবে সে নিয়ে আমি পরের আলোচনায় ব্যাখ্যা করবো তবে কিছু জিনিস এই আলোচনাতেই জানিয়ে রাখতে চাই যাতে আপনারা ফিতনায় না পড়েন। কিছু জিনিস আপনি মাথায় হিসাবে রাখলে এই ফিতনায় পড়বেন ন।
পৃথিবীর অবস্থা: —————-মানুষ হাদিসের চেয়ে বেশি জামানার অবস্থা দেখে আজকাল সব কিছু নির্ণয় করছে। আমাদের নবী (স:) এর জন্ম ও মৃত্যুও কিন্তু কেয়ামতের ছোট আলামত ছিল। তবে আজ ১৪৪১ হিজরী চলে। কিন্তু শেষের দিকের ফিতনা গুলো তাসবীহ এর দানা এর মতো ঝরতে থাকবে এটাও সত্য।
শুধু একটি হাদিস আপনারা মনে রাখবেন, বেশি গভীর জ্ঞান দরকার নেই।
হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের নিকটবর্তী সময়ে দুই ধরনের মৃত্যু দেখা দিবে। লাল মৃত্যু ও শ্বেত মৃত্যু। হঠাৎ হঠাৎ লাল ও রক্তবর্ণ বিশিষ্ট পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে। আর লাল মৃত্যু হল তরবারি(যুদ্ধের) দ্বারা মৃত্যু ও শ্বেত মৃত্যু হল প্লেগ, মহামারী দ্বারা মৃত্যু “।(কিতাবুল ইরশাদ, পৃষ্ঠা – ৪০৫, গাইবাত, পৃষ্ঠা – ২৭৭, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা – ১৮৮)
ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে দুই ধরনের মৃত্যু দেখা যাবে। ১, শ্বেত মৃত্যু। ২,লাল মৃত্যু। শ্বেত মৃত্যু (দুর্ভিক্ষের কারনে মৃত্যু) হল মহান মৃত্যু। আর লাল মৃত্যু হল তরবারি (যুদ্ধের) কারনে মৃত্যু। (হাদিস বড় হওয়ায় সম্পূর্ণ হাদিস উল্লেখ করা হয়নি)
(বিহারুল আনোয়ার, খন্ড – ৫২, পৃষ্ঠা – ১১৯, বিশারাতুল ইসলাম, পৃষ্ঠা – ১৫০, মুন্তাখাবুল আসার, পৃষ্ঠা – ৪২৫, মুজ’আম আল হাদিস আল ইমাম আল মাহদী, খন্ড – ৩, পৃষ্ঠা – ৪৭২)
শ্বেত মৃত্যুঃ পঙ্গ পাল মহামারি বিভিন্ন রোগে মৃত্যু, অনাহারে মৃত্যু।
(ইতিমদ্ধে ডেঙ্গু , করনো ভাইরাস ভয়াবহ অবস্থা মানুষ দেখছে, আর সামনে লাল মৃত্যু অপেক্ষা করছে)
লাল মৃত্যুঃ বিভিন্ন দেশে লাল মৃত্যু মানে যুদ্ধে নিহত হওয়ার মৃত্যু দেখা দিয়েছে। সামনে আছে – ফুরাতের যুদ্ধ / তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ সহ কিছু যুদ্ধ।
আবু বাসির – ইমাম সাদিক (আঃ) বলেছেন যে পর্যন্ত দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ধ্বংস না হবে সে পর্যন্ত ইমাম মাহদির আবির্ভাব হবেনা।
আমি (আবু বাসির) জিজ্ঞাসা করলাম, মানবজাতির এত বড় অংশ শেষ হয়ে গেলে কে ই বা বেঁচে থাকবে? তিনি বলেন – এক তৃতীয়াংশের মধ্যে থাকতে কি তোমরা (মুসলমান) পছন্দ করোনা?
(সংগ্রহ – ইমাম মাহদী (আঃ) এর আত্মপ্রকাশ (আসরে যুহুর)
লেখক -আল্লামা আলী আল কুরানী
অনুবাদক – মুহাম্মদ মুনির হসেন খান
প্রকাশকাল- ফেব্রুয়ারি ২০০৮)