ঐতিহাসিক সিরিয়া স্বামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। সিরিয়ার ভূমিতে আসাদের পতন বিশ্ব পরিবর্তনের নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বিশেষ করে ইসলামি বিশ্বের জন্য। ইসলামি ইতিহাসে সিরিয়ার ভূমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাহাবায়ে কেরাম সিরিয়ার ভূমি থেকেই ফিলিস্তিন বিজয় করেছে, সুলতান সালাউদ্দিন আইউবি (রাহিমাহুল্লাহ) এখান থেকেই ক্রুসেডারদের পরাজিত করে বাইতুল মাকদিস পুনরুদ্ধার করেছে।
প্রিয় ভাই ও বোন। বরাবরের মতোই আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করতেছি। পুরো জাতি এক মহা পরিবর্তনের যুগসন্ধিখনে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ এর শেষের দিকে ঘটে গেছে ঐতিহাসিক দুটি ঘটনা। বাংলাদেশ এবং সামের গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড থেকে স্বৈরাচার হাসিনা এবং আসাদের পতন (বিশ্ব মাফিয়াদের বুকে কাঁপন লাগিয়ে দিয়েছে)
বিশেষ করে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকে হাসিনার পতন ভারতের কলিজায় আগাত হেনেছে। আমি আমার পূর্বের আলোচনায় বলেছি বাংলাদেশ ছিল ভারতের নিরাপত্তার চাদর। আর সেই চাদর হারিয়ে ভারত, সেভেন সিস্টার্স, কাশ্মীর সহ বিভিন্ন রাজ্য হারানোর আতংকে দিন রাত অতিবাহিত করতেছে। আর ভারত বাংলাদেশ তথাপি হিন্দুস্থান নিয়ে আমাদের নবিজি সা: এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যৎবাণী। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই হিন্দুস্তান মুসলমানরা বিজয় করবে। আর বাংলাদেশে ভারতের তাবেদার সরকারের পতন সে সম্ভাবনা আরো জোরালো করেছে।
*****
একই ভাবে সামের ভূমি সিরিয়া ছিল জিও পলিটিক্সের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। একই সাথে মিসর, (ইজরায়েল ), নিজেদের পরাশক্তি দাবি করা রাষ্ট্র গুলোর জন্য ছিলো এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী! আল্লাহ সামের ভূমিতে বারাকা দান করুন, হক পন্থিদের কুদরতি মদদ দান করুন। এটা সেই ভূমি যেখানে হজরত ইসা আ: সালাম অবতরণ করবেন।
প্রিয় ভাই বোন!! আপনারা লক্ষ্য করেছেন আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে,ছাত্রদের আন্দোলন মুখে হাসিনার যেভাবে পতন হয়েছে,ঠিক একই ভাবে অল্প কয়েকদিনের মুজাহিদদের অভিযানে খুনি আসাদের পতন ঘটেছে, আর তারি সাথে সাথে সমাপ্ত হয়েছে দীর্ঘ কয়েক যুগে চলতে থাকা নুসাইরি শিয়াদের শাসন। অতীত হয়েছে এক কলঙ্কিত জালেম সরকারের রক্তাক্ত শাসনের ইতিহাস।
সিরিয়ার এ বিজয় শুধুমাত্র আসাদের পতন ঘটেনি। পরাজিত হয়েছে দাম্ভিক আমেরিকা ইজরায়েলে সহ বিশ্ব মোড়ল শক্তিরা৷ তাই এ বিজয় ভারতের মতো তাদেরও নিরাপত্তায় আগাত লেগেছে। আর তারা এ বিষয় খুব ভালো ভাবেই অবগত আছে।
প্রিয় ভাই ও বোন সিরিয়া ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে, সম্ভাব্য কিছু বিষয় আপনাদের সতর্ক ও সুসংবাদ দিয়ে আজকের আলোচনা শেষ করবো।ইনশাআল্লাহ।
সিরিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগান সম্প্রীতি তার বক্তব্যে সিরিয়ার ভূমি গুলো নিজেদের দাবী করেছেন। তার পুরো বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে নতুন দিকে মোড় নিবে সিরিয়ার পরিস্থিতি। আপনাদের আবারও স্মরণ করে দিচ্ছি এটাই সেই সিরিয়া, জেরুজালেম বিজয়ের চাবি এই সিরিয়ার হাতেই। জিও পলিটিক্যাল চেঞ্জ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমি হওয়ার কারণে, নানান ধর্ম নানান বর্ণের নানান গুষ্টির কাছে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ। আর এই মুহূর্তে হক পন্থিদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দিবে। আগামী বিশ্ব কারা নেতৃত্ব দিবে এই ভূখন্ডে গুলো থেকেই তা হবে হাদীসে ও তা বলা আছে।
আর খোরাসানের পরে সিরিয়াতে ও যদি একটি ইমারত সরকার গঠন হয়, ইসলাম বিরোধীদের জন্য তা সত্যিই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে। তাই বাতিলরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ইসলাম পন্থিদের রুখে দিতে।
আমার সম্মানিত যুবক ভাইয়েরা। আমি ২০২০ এর দিকে সিরিয়া নিয়ে একটা লিখায় বলেছি। সিরিয়াতে কালো পতাকার অবমাননাকারী সন্ত্রাসীরা ২৩ এর মাঝামাঝি অথবা কিছুটা আগে পরে আবারও খুব শক্তিশালী অবস্থায় ফিরে আসবে।আর সময়টা এখন চলে এসেছে মনে হচ্ছে ।
নব্য বাতিনিদের ছেয়ে ও নিষ্ঠুর জাহান্নামের কোপেক উম্মাহকে ক্ষতবিক্ষত করতে আবারো আমাদের দিকে দেয়ে আসছে সিরিয়ার কালো সন্ত্রাসীরা । মনে রাখবেন শেষ জামানায় সিরিয়ার ভূমি হবে মুমিনদের কেন্দ্রস্থল।
আর সিরিযা যেহেতু স্বামের ভূমি এটাও আপনাদের জানা প্রয়োজন শাম হলো সেই স্থান৷ যেখানে ৮০ টি পতাকাবাহী ইমাম মাহদীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে৷ এই সামেই ঈসা ইবনে মারঈয়ামের আগমন ঘটবে
এটা এক বড়ো নিদর্শন সামের সিংহরা জেগে উঠেছে, ঐতিহাসিক কিছু বিষয় দেখার অপেক্ষায় গোটা পৃথিবী।
রাসুল সা : বলেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, অচিরেই তোমরা শাম বিজয় করতে পারবে, যখন তোমাদের সেখানে বসবাসের এখতিয়ার দেওয়া হবে, তোমরা দামেস্ক নগরীকে বাসস্থান বানাবে, কেননা তা যুদ্ধবর্তীকালীন মুসলিমদের আশ্রয়স্থল হবে, আর তাদের ছাউনি হবে সে দেশের একটি ভূমি, যাকে ‘গোতা’ বলা হয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭৪৭০)
প্রিয় ভাই বোন। পুরো পৃথিবীতে এক মহা পরিবর্তনের বাতাস বইছে । এমন এক পরিস্থিতিতে আমি সিরিযাতে সম্ভাব্য কিছু বিষয় আপনাদের জানাতে চাচ্ছি যার প্রভাব হিন্দুস্তানে ও আসবে। বিশেষ কিছু ঘটনা..
সিরিয়াতে কালো সন্ত্রাসীদের পুনোরায় ফিরে আশা। সুফিয়ানি বাহিনির আগমন, যদি ও তা বুঝতে সময় লাগবে। তুরস্কের সাথে শিয়া রাস্ট্র গুলোর বিরোধ, জুলানির পদক্ষেপ এবং আমেরিকার (মি&স%রা ইল) তুরস্কের কেমন শত্রু হবে তা দৃশ্যমান হওয়া৷ মিসরে ও আসবে বড়ো পরিবর্তন। সবচেয়ে বড়ো হুমকি খারেজীরা। আর এতো কমপ্লিকেটেড পরিস্থিতি পরে আসবে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমি আবার ও বলছি কম সময়ের মধ্যে বড়ো কিছু ঘটনা ঘটতে চলছে ইনশাআল্লাহ। (আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন)
হজরত আবুদ্দারদা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মহাযুদ্ধের সময় মুসলিমদের ছাউনি হবে ‘গোতা’ শহরে, যা দামেস্ক শহরের পাশে অবস্থিত। এটি শামের উত্কৃষ্ট শহরগুলোর একটি। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪২৯৮)
প্রিয় ভাই ও বোন শাম হল বরকতময় ভূমি শাম হল শেষ জামানার যু/দ্ধে/র কেন্দ্রভূমি,
আল্লাহর সিংহরা জেগে উঠেছে, হিন্দুস্থানও হিন্দের চূড়ান্ত লড়া/ইয়ের দিকে ধাবিত হুচ্ছে।এই শতাব্দী উম্মাহর বিজয়ের শতাব্দী, দা/জ্জা/লের বা/হিনী পরাজিত হবে,মাহ/দীর বাহিনী বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয় লিখালিখি আরো চলবে….(ইনশাআল্লাহ)
সাইদুল ইসলাম সজীব
১৯/১২/২০২৪