সোমালিয়া থেকে সুসংবাদ এর অপেক্ষায় গোটা উম্মাহ।
সোমালিয়াতে ইসলামের বিজয় ইমাম মাহদী আ: এর আগমনের কথা বলে। ইনশাআল্লাহ সোমালিয়াতে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ইসলাম । আপনাদের একটা সুসংবাদের কথা বলেছিলাম মনে আছে? আমরা আমাদের ভাইদের কাছ থেকে সুসংবাদের অপেক্ষায় আছি।নিশ্চয়ই আমরা আমাদের ভাইদের জন্য প্রার্থনা করতেছি!!ইনশাআল্লাহ আমরা সোমালিয়া বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে আছি।যে বিজয় ইমাম মাহদীর আগমনের পথ সুগম করবে ।
মাঝে মধ্যে মনে হয় এই পৃথিবী কি খুব গভীর অন্ধকারেই তলিয়ে গেল? ন্যায্য বিচার দাবি করা এ সমাজে আসলে কি মিথ্যে আশা?বিচারহীনতা, জুলুম,অন্যায় অনাচার,ধর্ষিত মা বোনদের আত্মচিৎকার। যেন কোথাও কেউ নেই।
প্রিয় পাঠক খেলাফতবিহীন ১০১ বছর এই উম্মাহ পার করে ফেলেছে।
এই ১০১ বছর উম্মতে মুহাম্মদীর অবস্থা ঠিক যেন খড়কুটের মতই, প্রতিটি ভূখণ্ডে মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে।তৈরি হয়েছে অসংখ্য আফিয়া সিদ্দিকার গল্প। আমারা আর এমন গল্পের সম্মুখীন হতে চাই না। 200 কোটি মুসলমানদের কেন এই হাল? সংখ্যাটা কি কি খুবই কম ? এ যেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর হাদিসের চুড়ান্ত বাস্তবায়ন।
রাসুল সা: বলেন।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘শিগগির মানুষ তোমাদের আক্রমণ করার জন্য একে অপরকে আহ্বান করতে থাকবে, যেভাবে মানুষ তাদের সঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য একে অপরকে আহ্বান করে।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! তখন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো।’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমরা সংখ্যায় হবে অগণিত। কিন্তু তোমরা সমুদ্রের ফেনার মতো(আবু দাউদ, হাদিস : ৭৫৩৯)
এই হাদিস সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত মুসলিমদের বাস্তবতা তুলে ধরে। আমাদের নামের বিশেষণ এখন নিপীড়িত জাতি। এটা আমাদের জন্য সত্যিই অনেক বড়ো লজ্জা।
প্রিয় পাঠক এই দুনিয়া আল্লাহ পরিচালিত করেন। তিনি একটি জাতির পতন করে আরেকটি জাতির উত্থান করেন ।প্রত্যেক জাতির উত্থান-পতনের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। সে সময় সম্পর্কে একমাত্র মহান আল্লাহ অবগত। নির্ধারিত সময় না আসা পর্যন্ত কোনো জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয় না। এটাই আল্লাহর রীতি।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন।কোনো জাতি তার নির্দিষ্ট সময় ত্বরান্বিত বা বিলম্বিত করতে পারে না। (সুরা : হিজর, আয়াত : ৪-৫)
পৃথিবীর ইতিহাসে জাতির অধিকাংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হলেও, আল্লাহর কিছু আবেদ বান্দা ঠিকই তারা তাওহীদের উপর অটল অবিচল থাকে, আর আল্লাহ ঠিকই একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই কম সংখ্যক লোকদেরকেই বিজয় দান করে। আমাদের এ যুগে ও এ ধরনের মানুষ আছে, এ যুগের মানুষরা তাদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মনে করে। কিন্তু তাদের সন্মান ইজ্জতের কথা তো আমাদের নবীজি বলে গেছেন । যখন খোরাসানে সিংহরা কুফফারদের বিরুদ্ধে লড়াইরত ছিল, ৮০০ কোটি মুসলমানদের মধ্যে কতজন তাদের সাপোর্ট করেছিল? তাদেরকে কি (গঞ্জি) বলা হয়নি? আলহামদুলিল্লাহ তাদের অটল অবিচল থাকার কারণে আল্লাহ একটা সময় পর তাদের ঠিকই বিজয় দিয়েছেন ।
আল্লাহর হাবিব বলেন : পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”।(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)
প্রিয় পাঠক হাদিসে আল্লাহর রাসুল তার সৎকর্মশীল উম্মতের বিষয় বলে গেছেন।
কিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মাতের একদল হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে বাতিলের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাকবে এবং অবশেষে ঈসা (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করবেন। মুসলমানদের আমীর বলবেনঃ আসুন, সালাতে আমাদের ইমামত করুন। তিনি উত্তর দিবেনঃ না, আপনাদেরই একজন অন্যদের জন্য ইমাম নিযুক্ত হবেন। এ হল আল্লাহর প্রদত্ত এ উম্মাতের সম্মান। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ২৯২)
হাদিস গুলোর বিষয় পর্যালোচনা করলে খুবই পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। মুলত খোরাসান বিজয়ের সাথে সাথে, গোটা ইসলামী দুনিয়ার বিজয়ের দার উন্মোচন হয়েছে। খোরাশান থেকে সিরিয়া, সিরিয়া থেকে সোমালিয়া, সোমালিয়া থেকে পবিত্র ভূমি, পবিত্র ভূমি থেকে হিন্দুস্তান। সব জায়গায় আল্লাহর সিংহরা জেগে উঠেছে। আর খোরাসান বিজিত হওয়া এটি অনেক বড় এক সাইন, জেরুজালেম কেন্দ্রিক পৃথিবীর শেষ খেলাফতের স্বপ্ন আমাদের দেখার সৌভাগ্য হোক। একটি গুডঘুটে কালো রাত সুন্দর সকালের স্বপ্ন দেখায় ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি খুব শীঘ্রই সোমালিয়া থেকেও সুসংবাদ আসুক । এ দ্বীন আল্লাহর আর তা রুখে দিবে সে সাধ্য আছে কার?
সাইদুল ইসলাম সজীব
১৬/৩/২০২৫